৭ দিনে কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়

৭ দিনে কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়, এ পেটের চর্বি কমানোর জন্য আপনাকে নিয়মিত কিছু কার্যকারী পদ্ধতি অনুসরন করতে হবে। যেমন পুষ্টিকর ও প্রটিন জাতীয় খাবার খেতে পারেন এবং প্রকিয়াজাত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।

৭- দিনে-কিভাবে-পেটের-চর্বি-কমানো-যায়

আপনার পেটে যদি অতিরিক্ত চর্বি জমে তাহলে আপনি নিয়মিত ব্যাম করুন এবং দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে আপনাকে ঘুমের সময় কমিয়ে পর্যাপ্ত ঘুম ৭-৮ ঘন্টা নিশ্চিত করুন।

পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়

৭ দিনে কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়

৭ দিনে কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়? এ জন্য প্রথমত আপনাকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করতে হবে। আপনাকে নিয়মিত প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। পেটের চর্বি কমাতে সময় লাগে তাই আপনাকে ধর্য ধরে নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।আপনি যদি নেসা যাতীয় দ্রব্য সেবন করে থাকেন তাহলে এগুলো পরিহার করতে হবে কারন এগুলো চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে।

পেটের চর্বি কমানোর আরেকটি সহজ মাধ্যম হলো নিয়মিত ব্যাম করা। প্রতিদিন সকালে ১০-১৫ মিনিট হাটা, বা দৌড়ানো আপনার মেদ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি পেটের চর্বি কমানোর বিশেষ ব্যাম যেমন স্কোয়াট, প্ল্যাঙ্ক, সিট-অ্যাপস ইত্যাদি করতে পারেন।

মেদ কমানো একটি সাধারণ ব্যাপার না হয়ে এটি আপনার জন্য চেলেঞ্জিং বিষয় হতে হবে। পেটের চর্বি দ্রুত কমাতে আপনাকে নতুন খাদ্যাভ্যাস এর তালিকা তৈরি করতে হবে যেখানে প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত চিনি, লবণ, মিষ্টি, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি খাবার থাকবেনা।

পেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ

পেটের চর্বি কমানোর জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ হলো প্রটিন। প্রটিন আপনার মেদ কমাতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে। তাই আপনাকে প্রটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রটিন যাতীয় খাবার দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুদা কমিয়ে রাখে এবং আপনার বেশি বেশি খাবার খাওয়ার প্রবনতা কমাতে সাহায্য করে থাকে।

কিভাবে-পেটের-চর্বি-কমানো-যায়

মেদ কমাতে আপনার অতিরিক্ত খাবার খাওয়া কমাতে হবে অতিরিক্ত ক্ষুদা কমাতে আরেকটি উপাদান সাহায্য করে থাকে সেটি হলো ফাইবার যা আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখার শক্তি প্রদান করবে। ফাইবার বা আঁশ আমাদের পেটের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী একটি উপাদান। ফাইবার জাতীয় খাবার যেমন সালাদ, ব্রকলি, বেদানা এগুলো চর্বি কমাতে সহায়ক।

পেটের চর্বি কমাতে আপনার প্রয়োজন পাচনত্বন্ত্রের সাস্থ্য উন্নত করা। পাচন ত্বন্ত্রের সাস্থ্য উন্নত রাখতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে প্রোবায়টিকস। প্রোবায়টিকস শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে পেটের চর্বিকে কমাতে সাহায্য করে। প্রোবায়টিকস এর ভালো মাধ্যমগুলোর মধ্যে রয়েছে দই, কেফির, সৌকরুট ইত্যাদি এই খাবার গুলো পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

পেটের মেদ বৃদ্ধির কারণ সমূহ 

পেটের মেদ বৃদ্ধির প্রধান কারণ অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহন করা। যখন আপনি আপনার দৈনিক ক্যালরি চাহিদার চেয়ে বেশি ক্যালরি গ্রহন করেন তখন শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি চর্বি হিসেবে জমা হয় এবং এই চর্বি পেটের আশেপাশে জমা হয়ে মেদ তৈরি হয়। অনেক সময় আপনি প্রক্রিয়াজান, চর্বিজাতীয় খাবার খান যা আপনার পেটের মেদ বৃদ্ধির উপধান কারন।

অলস জীবযাত্রার ফলে অনেকের মেদ বৃদ্ধি পায়। খাবার খাওয়ার পর যারা দিনের বেশিরভাগ সময় শারীরিক কর্মকান্ড বসে থেকে করে থাকে বা অংশ নেয় তাদের পেটের চর্বি বারার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নিয়মিত ব্যাম না করলে শরীরের মেটাবলিজম স্লো হয়ে যায় যার ফলে অতিরিক্ত ক্যালরি পোড়তে বাধা দেয় এবং পেটের মেদ বৃদ্ধি করে।


দৈনিক শরীর চর্চা বা সাধারন ব্যাম না করার ফলেও আপনার পেটে অতিরিক্ত মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে যা পেটের চর্বি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। হরমোনাল পরিবর্তন ও পেটের চর্বি বৃদ্ধি করে। পুরুষদের টেস্টোস্টেরন কমে গেলে পেটে মেদ বাড়তে পারে।স্টেস হরমোন এর অতিরিক্ত নিঃসরনও মেদ বা পেটের চর্বি বৃদ্ধির কারন।

যখন আপনি মানুষিক চাপ বা টেনশন এ থাকবেন তখন কোর্টিসল এর পরিমান বৃদ্ধি পেতে থাকে যা বিশেষ করে আপনার পেটে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ঘুমের অভাবে শরীরের স্ট্রেস হরমোন এর পরিমান বেড়ে যায় যা আপনার পেটের আশেপাশে চর্বি জমিয়ে রাখতে সহায়ক। ঘুমের অভাবে গৃলুকোজ পরিবর্তন হয়ে চর্বি জমতে সাহায্য করে।

প্রাকৃতিক উপায়ে পেটের চর্বি কমানোর উপায়

কখনো কখনো পেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন ছাড়া কোন উপায় পাওয়া যায়না। প্রাকৃতিক উপায়ে মেদ কমানো মুলত শারীরিক পরিশ্রম করা, শ্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ফলো করা। প্রকৃতি থেকে পাওয়া কিছু উপাদান আমাদের পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। প্রকৃতি থেকে পাওয়া সবুজ চা এবং উলং চা আমাদের শরীরের মেদ কমাতে সহায়ক।

প্রকৃতি থেকে পাওয়া কিছু কার্যকরী উপাদান আমাদের পেটের চর্বি কমাতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে থাকে। প্রকৃতি থেকে পাওয়া পানি পান করলে শরীরে মেটাবলিজম দ্রুত হয় এবং টক্সিন বের হয়ে যায় যার ফলে আপনার হজমে সাহায্য করে। আপনি একটু ভেবে দেখতে পারেন খাবার খাওয়ার আগে যদি আপনি পানি পান করেন তাহলে ক্ষুদা কম লাগবে।


পানি পান করলে ক্ষুদার পরিমান কমিয়ে আপনার ক্ষুদাকে দীর্ঘ করে তোলে। বিশেষ করে পানির সাথে লেবুর পানি মিক্স করে খাওয়ায় লেবুতে সাইট্রিক এসিড থাকায় শরীরে সাইট্রিক এসিড সরবরাহ যা আপনার পেটের চর্বিকে কমাতে পারে। লেবুর সাথে পানি মিক্স করে খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে তাই আপনার মেদ কমাতে আপনি এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।

আবার আদা ও লেবুর পানীয় পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকে কারন আদা প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরে মেটাবলিজম বারায় এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য কর। আদা ও লেবু পানীয় একসাথে খেলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে এবং আপনার হজম শক্তি বারিয়ে দেয় যার ফলে আপনি অতিরিক্ত ক্ষুদা থেকে বিরত থাকবেন যেটি মেদ কমানোর প্রধান উপায়।

পেটের চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়

শারীরিক কার্যক্রম না করা ও অতিরিক্ত অলসতার মোহে পড়ে অনেকে পেটের চর্বি বারিয়ে ফেলে এবং আবার টেনশন করেন যে কিভাবে চর্বি কমাবেন। সাধারনত পেটের চর্বি কমাতে আপনার দৈনিক কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। অতিরিক্ত টেনশন করা যাবেন কারন আগেই বলেছি অতিরিক্ত টেনশন ও চর্বি বারার কারন। 

কিভাবে-পেটের-চর্বি-কমানো-যায়

সতর্কতার সাথে নিয়ম কানুন মেনে চলে আপনি ঘরোয়া উপায়ে আপনি আপনার পেটের চর্বি কামাতে পারেন। আপনার যদি অতিরিক্ত চর্বি থাকে তাহলে আপনি আজ থেকে দৈনিক হাঁটা-চলা, দৌড়ানো আরো অন্যান্য শারীরিক ব্যাম করা শুরু করেন। তাজা ফলমূল খেতে পারেন কারন এতে প্রচুর ফাইবার থাকায় হজমে সাহায্য করে।

পেটের চর্বি কমাতে ক্যাফিন খাওয়ার অভ্যাস করুন। ক্যাফিন যুক্ত পানীয় যেমন চা, কফি এগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন কারন এগুলো মেদ পোড়াতে সাহায্য করে। আবার আমরা রোজার মাসে ইফতারিতে যে খাবার, ফলমূল, শাক-সবজি খেয়ে থাকি এগুলোতে প্রচুর পরিমানে প্রটিন আছে যার ফলে এ খাবার গুলো মেদ কমাতে সাহায্য করে।

মসলা এবং সুগন্ধি তেল যেমন কালোজিরা, হলুদ, লবঙ্গ ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদান গুলোয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি থাকায় এটি শরীরের জন্য উপকারী। মেদ কমানোর জন্য এমন কিছু খান যেগুলো খেলে ক্ষুদা কম লাগে।উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে নিয়মিত শারীরিক ব্যাম ও খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন এতে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।

পেটের চর্বি কমাতে কি কি খাবেন

চর্বি কমানোর জন্য বিশেষ খাবারগুলো হলো দারু চিনি, লাল মিষ্টি মরিচ, বেদানা, হলুদ পেঁয়াজ, জিরা, কালোজিরা, কফি, মধু, দিম, পেঁপে, পালন শাক, আঙ্গুল,কুমরা, গাজর ইত্যাদি। এ খাবার পেটের চর্বি কমাতে বিশেষ ভুমিকা রাখে। আপনার মেদ কমাতে আপনি আপনার খাদ্যাভ্যাসে এ জাতীয় খাবার গুলো রাখতে পারেন।

প্রটিন এবং ফলমুল আমাদের শ্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার এবং হালকা শর্করা জাতীয় খাবার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। আবার অতিরিক্ত শর্করা চর্বি জমতে সাহায্য করে তাই হালকা পরিমানে শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়াই ভালো। কিছু কিছু খাবার আছে যেমন ব্রাউন রাইস, গ্রেইন পাস্তা এবং ওটস এগুলো খাওয়া উপকারি।


ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যেমন সালমন মাস, ম্যাকেরেল ইত্যাদি চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ওটস একটি শক্তিশালী ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যা পেটের চর্বি কমাতে সহায়ক। ওটস হজমে সাহায্য করে এবং শরীরের কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে। ওটস খাওয়া ফলে পেট ভরা থাকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুদা লাগার তৃপ্তি দেয়।

এছারাও শ্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস এর মাধ্যে রয়েছে অলিভ ওয়েল তেল, বাদাম, আখরোট, আমন্ড, পেস্তাচিয়, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি। অলিভ ওয়েল তেলের মধ্যে রয়েছে ভালো চর্বি যা শরীরের জন্য উপকারি। এ চর্বি শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। উপরক্ত খাবার গুলো পেটের চর্বির জন্য খুবই উপকারি।

চর্বি বা মেদ কমানোর জন্য ব্যাম

আপনার পেটের চর্বি বা মেদ কমানোর জন্য কিছু সঠিক ব্যাম রয়েছে যা আপনার পেটের চর্বি কমাতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে থাকে। কার্ডিও এক ধরনের ব্যাম যা শরীরের মেটাবলিজম ত্বরান্ধিত করে। চর্বি কমানোর জন্য কার্ডিও ব্যাম খুবই গুরুতবপূর্ন কারন এটি আপনার শরীরের চর্বি দ্রুত পোড়াতে সাহায্য করতে পারে।

কার্ডিও ব্যাম এর উদাহরণ এর মধ্যে রয়েছে দৌড়ানো, সাইক্লিন, জাম্পিং, হালকা হাঁটা। দৌড়ানো আপনার শরীরের সকল অংশে কাজ করে যার ফলে আপনার চর্বি দ্রুত পোড়াতে সাহায্য করে। সাইক্লিং হলো একটি কার্ডিও ব্যাম যা আপনার পায়ের পেশি গঠনে সাহায্য করে পাশাপাশি বাইক চালানোর মাধ্যমেও আপনি দ্রুত চর্বি কমাতে পারবেন।

চর্বি বা মেদ কমানোর জন্য প্রতিরোধ ব্যামটি ও গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে। প্রতিরোধ ব্যাম এর ফলে পেশি শক্তিশালী হয় এবং আপনার শরীরে মেটাবলিজম এর গতি বাড়াতে সাহায্য করে। ব্যাম করে যখন আপনি পেশি বানাতে সক্ষ্ম হন তখন আপনার শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।

পেটের চর্বি কমাতে হোম রেমেডি

পেটের চর্বি কমাতে হোম রেমেডি অনেক সহজ উপায় হতে পারে কারন রেমেডি সাধারন উপাদান নিয়ে তৈরি। রেমেডি আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার হজম শক্তি ভালো রাখে এর পাশাপাশি আপনার পেটে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তবে হোম রেমেডির পাশাপাশি ব্যাম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরন করা প্রোয়জনীয়।

 এমন কিছু প্রাকৃতিক হোম রেমেডি রয়েছে যা আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লেবুর ও মধুর পানীয়, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, আদা ও লেবুর চা, জিরা ও দারুচিনি, তুলসি পাতা, পুদিনাপাতা ও লেবু, এলোভেরা জেল, হলুদ ও গোল মরিচের পানীয় এ উপাদান গুলো আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

লেবু ও মধুর মিশ্রনে যে পানীয় তৈরি হয় তা এক ধরনের ডিটক্স পানীয়। এ পানীয় আপনার শরীরের টক্সিন বের করতে সাহায্য করে থাকে। এক গ্লাস পানিতে একটি চায়ের চামচ পরিমান এক চামচ মধু ও এক টুকরা লেবুর রস মিক্স করে এটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সারাদিনে প্রচুর পানি পান করুন।

আপনার পেটের চর্বি কমাতে কুমিং এবং দারুচিনি এক সাথে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। কারন দারুচিনিতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং কুমিং আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ কুমিং ও একচিমটি দারুচিনির গুড়ো মিক্স করে এটি প্রতিদিন সকালে পান করুন।

অতিরিক্ত চর্বি কমানোর সহজ উপায়

আপনার কাছে পেটের চর্বি কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় হতে পারে। কিন্তু কিছু সহজ উপায় আছে যা অনুসরন করলে আপনি খুব সহজে আপনার পেটের চর্ব কমাতে পারবেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যাম ও আপনার জীবনের সাধারন কিছু অভ্যাস গুলোর পরিবর্তন আপ্নার পেটের চরবি নিরাময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে।

পেটের চর্বি কমাতে আপনার দেহের ক্যালরি কমানো একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ধাপ। তবে ক্যালরি আপনার শরীর থেকে এমন ভাবে কমাতে হবে যে আপনার শরীরের পুষ্টি নষ্ট না হয়। একে একে আপনি যদি আপনার খাবার তালিকায় আপনি সঠিক খাদ্যাভ্যাস এর পরিবর্তন আনতে পারেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে পারবেন।

আপনার পেটের চর্বি কমাতে  খাবারে ফাইবার বাড়ান। চিকেন, মাছ, ডাল, ডিম, সয়া ইত্যাদি প্রটিন জাতীয় খাবার খান। সুগার ও প্রসেসেড খাবার খাওয়ার মান কমান কারন এটি দ্রুত চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, মিষ্টি, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন।

খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন খাবারের পরিমান বা প্রটিন সাইজ নিয়ন্ত্রন রাখতে চেস্টা করুন। অল্প অপ্ল করে বারবার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। কাঁচা ফলমূল ও শাক-সবজি খান। এগুলো আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

লেখকের কথাঃ ৭ দিনে কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়

৭ দিনে কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়, পেটের চর্বি কমানোর সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো সঠিক খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রন রাখা, নিয়মিত শারীরিক ব্যাম করা। পেটের চর্বি কমানোর জন্য আদর্শ ঘুম ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান। একটি নির্দিষ্ট সময় সূচি অনুসরন করুন যখন আপনার শরীর ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত থাকে।

আমাদের এই পোস্ট এ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় এ বিষয়ে আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছি। এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হোন তাহলে আরো নতুন নতুন বিষয়ে আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সার্চ করুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আওয়ার ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url