অনলাইনে জমি খারিজ করার নিয়ম
অনলাইনে জমি খারিজ করার নিয়ম বর্তমানে খুবই সহজ করা হয়েছে। আগে জমি খারিজ করার
জন্য জমির মালিকদেরকে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাপ করতে হতো কিন্তু এটি এখন খুবই সহজ
উপায়ে অনলাইন এর মাধ্যমে করা যায়।
অনলাইন সেবা উন্নত হওয়ার কারনে আমাদের কঠিন কাজগুলো এখন খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে। জমি
খারিজ করতে আগে সপ্তাহের পর সপ্তাহ সময় লাগতো সেটি এখন অনলাইন সেবার চালু করাতে
এক থেকে দুই দিন সময় লাগে।
পেজ সূচিপত্রঃ অনলাইনে জমি খারিজ করার নিয়ম
অনলাইনে জমি খারিজ করার নিয়ম
অনলাইনে জমি খারিজ করার নিয়ম হলো জমি খারিজের জন্য আপনাকে সরকারি ওয়েবসাইটে
প্রবেশ করতে হবে। জমি খারিজের আবেদন করতে আপনাকে গুগলে গিয়ে সার্চ করতে হবে ভূমি
মন্ত্রণালয় লিখে। এই ওয়েবসাইট এ জমি খারিজ করার সম্পর্ন পদ্ধতি চালু করা আছে। তাই
খুব সহজ উপায়ে আপনি এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে জমি খারিজ কাজ সম্পূর্ন করতে পারেন।
ভূমি মন্ত্রণালয় এই ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করার পর আপনাকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে
হবে। একাউন্ট করতে আপনাকে আপনার নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, একটি ইমেল
আইডি এবং আপনার পারসনাল মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। আপনি যদি এই ওয়েবসাইটে আগে কোনো
একাউন্ট খুলে থাকেন তাহলে লগইন এ ক্লিক করে লগইন করুন।
আরো পড়ুনঃ
নারিকেল গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি
ওয়েবসাইটে লগইন করা হয়ে গেলে আপনার সামনে একটি জমি খারিজের ফরম চলে আসবে। সেখানে
আপনাকে আপনার জমি বিষয়ক কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরন করতে হবে। ফরমে
অবশ্যই সঠিক তথ্য দিবেন। কোনো কিছু ভুল হলে আপনার জমি খারিজ করা সম্পর্ন হবে না।
তাই আপনার জমি সকল ডকুমেন্ট দেখে সঠিকভাবে ফরমটি পূরন করুন।
অনলাইনে জমি খারিজ করতে আপনার যা যা ডকুমেন্ট লাগবে তা হলোঃ
- জমির মালিকানা তথ্য
- জমির পরিমাণ বা একর
- জমির সঠিক বর্ণনা
- জমির অবস্থান ও বর্তমান প্রকৃত পরিস্থিতি
- জমির মালিকের তথ্য (যদি একের অধিক মালিক থাকে)
- অন্যান্য কাগজপত্র (খতিয়ান, রেকর্ডবুক, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি
অনলাইনে জমি খারিজ ডিজিটার পরিষেবা
ভুমি অফিসে যাবতীয় কার্যক্রম এখন অনলাইন এর মাধ্যমে করা সম্ভব। কারন আপনার জমির
সকল তথ্য এখন অনলাইনে দেখতে পারবেন। জমির মালিকানা, অবস্থান, পরিমাণ ইত্যাদি
বিষয়ক সরকারি রেকর্ট এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। এই রেকর্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার জমি
আইনি যাবতীয় পরিচয় যাচাই করতে পারবেন।
অনলাইন এ আবেদন করার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে যে কোনো সময় আপনার জমি খারিজ করতে
পারেন। জমি খারিজ করার সমস্ত উপায় এখন আপনি অনলাইনে পেয়ে যাবেন। জমি খারিজ করার
সম্পূর্ন নিয়ম এখন সরকারি ওয়েবসাইট গুলোতে চালু করা হয়েছে। আপনি ১-২ দিনে ঘরে বসে
অনলাইন এর মাধ্যমে জমি খারিজ করতে পারবেন।
তবে কিছু কিছু ক্ষেতে আপনার জমি খারিজ করতে সময় লাগতে পারে যেমন আপনার জমির
রেকর্ট যদি ভুল ভাবে কার্যক্রম করা থাকে এবং আপনার জমির মধ্যে যদি কোনো আইনি
জটিলতা থাকে তাহলে আপনার আপনার একটু সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে ভুমি
অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে হতে পারে।
অনলাইনে জমির খারিজ চেক করার পদ্ধতি
বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল পরিষেবা চালু করায় এখন অনলাইনে জমির খারিজ করার
নিয়ম ও চেক করার পদ্ধতি অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। আপনার জমির মালিকানা বা অন্যান্য
কার্যক্রম সম্পূর্ন হলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই চেক করতে পারবেন। ভূমি
মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে গিয়ে জমির সকল রেকর্ট ও তথ্য দেখতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
নারিকেল গাছে পাতা পচন রোধ নিয়ন্ত্রন
আপনার জমির খারিজ তথ্য খোঁজার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরন করতে হবে। জমির খতিয়ান
নাম্বার চেক করতে হলে প্রথমে আপনাকে আপনার জমির খতিয়ান নাম্বার বা আপনার জমির
রেকর্ট দিতে হবে। জমির মালিকানা তথ্য জানতে জমির মালিকের তথ্য দিতে হবে। অনলাইনে
জমি খারিজ করার নিয়ম মেনে যদি আপনি আবেদন করুন তাহলে জমির খারিজ চেক করতে সহজ
হবে।
অনলাইনে জমির খারিজ চেক করার জন্য যা যা প্রয়োজনঃ
- জমির মৌজা ও ইউনিয়ন এর নাম (যদি জেনে থাকেন)
- জমির অবস্থান (জেলা, থানা ইত্যাদি)
- জমির মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর
- জমির খতিয়ান নম্বর (খতিয়ান নং)
অনলাইনে জমি খারিজ করার নিয়ম মেনে আবেদন করার পর এবং খারিজ চেক করার সময় যদি কোনো
সমস্যার সম্মুখীন হোন তাহলে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন তাদের হেল্পলাইন ঠিকানায়।
অনলাইনে জমির খারিজ সনদ সংগ্রহ করার নিয়ম
অনলাইনে জমির খারিজ সনদ সংগ্রহ করার জন্য কিছু নিয়ম অনুসরন করতে হয়। এটি হলো জমির
মালিকানা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য যা জেলা ভূমি থেকে সরাসরি গিয়ে আনতে
হয়। আপনি চাইলে অনলাইন থেকেও এটি সংগ্রহ করতে পারেন। জমির খারজ সনদ সংগ্রহের জন্য
আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরন করতে হবে।
অনলাইনে জমির খারিজ সনদ সংগ্রহের জন্য জাতীয় ভুমি সেবা সিস্টেমে প্রবেশ করুন। যদি
আপনি নতুন নিবন্ধনকারী হোন তাহলে আপনাকে প্রথমে নিবন্ধন করে নিতে হবে। নিবন্ধন
করার পর আপনি সাইট এ প্রবেশ করতে পারবেন। আপনি যদি আগে নিবন্ধন করে থাকেন তাহলে
পূর্বের তথ্য দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
লগইন করা হয়ে গেলে আপনার সামনে খারিজ সনদ নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন সেটিতে
ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনার জমি বিষয়ক সঠিক তথ্য দিন যেমন জমির মৌজা, জমির
খতিয়ান নম্বর, জমির দাগ নম্বর, জমির ঠিকানা ইত্যাদি। আরো জমির বর্তমান মালিকের
মালিকানা তথ্য প্রদান করতে হবে।
অনলাইনে জমি খারিজ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফ্রী দিতে হয়। এটি আপনি বিভিন্ন
পদ্ধতিতে দিতে পারবেন। জমির মালিকানা বিষয়ক সকল তথ্য দলিল বা অন্যান্য কাগজ পত্র
স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আবেদন ফরম পূরন করা হয়ে গেলে আবার সম্পূর্ন ফরম আবার
নতুন করে চেক করে দেখুন সব তথ্য ঠিক আছে কিনা যদি ঠিক থাকে তবে আপলোড করে দিন।
জমি খারিজের অনলাইন ফরমটি আপলোদ দেওয়ার পর ভূমি অফিস বা উপজেলা ভূমি অফিস থেকে
চেক করে দেখবে আপনার যাবতীয় সকল তথ্য ঠিক আছে কিনা। তাদের যাচাই পর্ব শেষ হয়ে
গেলে আপনি আপনার জমির খারিজ সনদ ডাউনলোড করতে বা সংগ্রহ করতে পারবেন।
জমির খাজনা চেক করার নিয়ম
জমির সুরক্ষার জন্য জমির মালিককে সরকারের নিকট যে পরিমান ফ্রী পরিশোধ করতে হয়ে
সাধারণত তাকেই খাজনা বলা হয়। এটি জমির উন্নয়ন, স্থানিয় প্রসানিক কার্যক্রমের জন্য
ব্যবহৃত হয়ে থাকে। জমির খাজনা চেক করা একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ যেটি দ্বারা বোঝা
যায় যে জমির মালিক ঠিক মতো জমির খাজনা পরিশোধ করছে কি না।
আগে এই তথ্য জানতে হলে ভূমি অফিস পর্যন্ত যেতে হতো আর এখন সবকিছু অনলাইনের
মাধ্যেই খুব সহজে করা যায়। আপনি এখন ঘরে বসেই দেখতে পারবেন আপনার জমির সকল খাজনা
পরিশোধ হয়েছে কি না। আধুনিক এই ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্য আমাদের দৈনন্দিন
জীবনের সকল কাজ খুব অল্প সময়ের মধ্যে যেখানে সেখানে থেকে আমারা অনলাইন এর মাধ্যমে
করতে পারি।
অনলাইনে জমি খারিজ করার নিয়ম, জমি খাজনা চেক করার নিয়ম, জমির খারচিজ করার নিয়ম
রয়েছে। জমির খাজনা চেক করার জন্য আপনাকে জমি বিষয়ক সকল তথ্য দিতে হবে। আপনি যদি এ
সকল তথ্য গুলো জেনে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে আপনার জমির খাজনা চেক
করতে পারবেন।
জমির দাগ নম্বর খুঁজে পাওয়ার উপায়
জমির দাগ নম্বর একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমি সম্পর্কিত সনদ যা জমির মালিকানা চিহ্নিত
করতে ব্যবহৃত হয়। জমির দাগ নম্বর খুঁজে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। জমির দাগ
নম্বর খুঁজে পাওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো জমির খতিয়ান নম্বর ব্যাবহার করা।
খতিয়ান নম্বর হলো একটি ইউনিক আইডিনটিফিকেশন নাম্বার।
যা সংশ্লিষ্ট মৌজার মধ্যে জমির সঠিক অবস্থান এবং মালিকানা খুঁজে পেতে সাহায্য
করে। জাতীয় ভূমি সেবা সিস্টেম থেকেও আপনি খুব সহজে আপনার জমির দাগ নম্বর বের করতে
পারেন। এটি হলো একটি ডিজিটাল সেবা প্লার্টফর্ম যার মাধ্যমে আপনি আপনার জমির দাগ
নম্বরসহ আরো অন্যান্য ভূমি বিষয়ক তথ্য জানতে পারেন।
আপনি যদি অনলাইনে তথ্য পেতে না পারেন বা অনলাইন এ প্রবেশ করতে না পারেন তবে আপনার
স্থানীয় উপজেলা ভূমি অফিস এ গিয়ে আপনার জমির দাগ নম্বর সম্পর্কে জানতে পারেন।
প্রতিটি উপজেলা ভূমি অফিসে বই থাকে যেখানে জমির মালিকের নাম ঠিকানাসহ আরো যাবতীয়
তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
অনলাইনে জমি খারিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার নিয়ম
অনলাইনে জমি খারিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করার কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
অনলাইনে জমি খারিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য আপনাকে স্থানীয় ভূমি অফিস বা
উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আপনি যে বিষয়ে অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে
আপনি এলাকার ভূমি রেকর্ড বিভাগে অভিযোগ জমা দিতে পারেন।
আপনার আবেদনের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। অভিযোগ দাখিল করার জন্য
আপনার জমির খতিয়ান নম্বর, রেকর্ড নম্বর, জমির মালিকানা তথ্য এবং কোন নির্দিষ্ট
কোড এর মামলার নম্বর প্রয়োজন হতে পারে। এ সকল তথ্যগুলো আপনার অভিযোগ করার সময়
আপনার প্রয়োজন হতে পারে।
অনলাইনে বেশ কিছু ওয়েবসাইটে জমি খারিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সুযোগ থাকে।
সেখানে একটি ফরম পূরণ করার সুযোগ দেওয়া হয়। এই ফর্মে আপনার ঠিকানা আপনার জমির
বিস্তারিত এবং জমির মালিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে।
অনলাইনে জমি খারিজের অভিযোগ ভূমি অফিস বা আদালত থেকে আপনার অভিযোগের জানানো হতে
পারে। কোন কারণে আপনাকে অফিসে গিয়ে ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হতে পারে। আপনার যদি
মনে হয় আপনার জমি খারিজের বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি চলছে বা হচ্ছে তাহলে আপনি
স্থানীয় ভূমি অফিস বা আদালতে মামলা করতে পারেন।
অভিযোগ জমা দেওয়ার পর আপনার বিষয়টি তদন্ত করে তারা সিদ্ধান্ত নিবে। আপনার
অভিযোগের ভিত্তিতে জমির খারিজ সংশোধন বা নতুন কোন কোর্টের আদেশ জারি হতে পারে।
জমির খারিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য আপনার একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা
নেওয়া উত্তম।
জমি খারিজের বৈধতা বা মিউটেশন সংক্রান্ত আইন
মিউটেশন হচ্ছে জমির মালিকানা পরিবর্তন বা জমির উপর অধিকারের জন্য তথ্য সংশোধন
করার প্রক্রিয়া বা নিয়ম। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমির মালিকানা বা জমি সংক্রান্ত
তথ্য সংশোধিত হয়। জমি খারিজের আইনি বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন আইন-বিধি এবং
নিয়ম কানুন রয়েছে।
জমি খারিজের সময় ভুলবশত কোন তথ্য যদি ভুল দিয়ে থাকেন তবে এক্ষেত্রে অনেক ঝুঁকি
রয়েছে। কারণ জমি খারিজ করার সময় ভুল তথ্য দিলে জমির মালিকানা বা দখলদার তার
জমির অধিকার হারাতে পারে তার ওপর বাংলাদেশ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী অধিকার
অবৈধভাবে দখল করার জন্য আইনি অভিযোগ আসতে পারে।
আপনার জমির যদি খতিয়ান বা রেকর্ডে ভুল থাকে তাহলে সংশোধনের জন্য স্থানীয় ভূমি
অফিস বা উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে। এটি সাধারণত ভূমি অফিস বা জেলা
প্রশাসকের মাধ্যমে করতে হয়।
লেখকের কথা
লেখকের মতে, অনলাইন জমি খারিজ করার জন্য সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে অবশ্যই জমি সঠিক তথ্য এবং জমির
মালিকানা তথ্য সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করত হবে। এর ফলে আপনার পরবর্তীতে যেন কোনো
সমস্যা না হয়। আবেদন ফরমটি পূরন করে আবার চেক করে দেখে নিবেন আপনার তথ্যগুলো কি
সঠিক আছে নাকি। তাই অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন।
আমাদের পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আরো নতুন নতুন বিষয়ে আপডেট
পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। যে কোনো বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে সার্চ
করুন। আজকে এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।
আওয়ার ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url