নতুন ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম

নতুন ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম হলো প্রথমে গুগলে গিয়ে সার্চ করতে হবে (www.fiver.com)। এরপর আপনাকে ফাইবারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর উপরে দেখতে পারবেন সাইন আপ অপশন। 

নতুন-ফাইবার-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম

এরপর আপনাকে ক্লিক করতে হবে তারপর আপনি আপনার ইমেইল, গুগল বা ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমে ফাইবার অ্যাকাউন্টে সাইন আপ করতে পারবেন বা ফাইবারে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন তবে এর জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। 

পেজ সূচিপত্রঃ নতুন ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম

নতুন ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার বা কোন বিষয়ে আপনার কোন দক্ষতা বা স্কিল থেকে থাকে তবে আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে করতে পারবেন। ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম একটি ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সাধারণত আপনার জিমেইল বা গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাইন আপ একটি ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে শুধু জিমেইল দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুললেই সেখান থেকে কাজ পাবেন না। 

নতুন ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়েও ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য গুগলে সাইনআপ করার পর আপনাকে একটি কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। এরপর আপনাকে প্রফেশনাল ভাবে ফাইবার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনার নাম, ভাষা, আপনার দক্ষতা বা কাজের অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করতে হবে। 

যদি আপনি ফাইবারে নিয়মিত কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে পেমেন্ট গ্রহণের জন্য আপনার পেমেন্ট তথ্য যোগ করতে হবে। আপনি চাইলে Paypal বা অন্য কোন পেমেন্ট মেথড যোগ করতে পারবেন। আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ এডিট করা হলে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। আপনি চাইলে ফাইবারে সার্চ অপশনে বিভিন্ন প্রফেশনাল সার্ভিসের জন্য অনুসন্ধান করতে পারবেন। এ প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই একটি নতুন ফাইবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। 

ফাইবার অ্যাকাউন্টে প্রফেশনাল গিগ তৈরি করার গাইডলাইন

একটি প্রফেশনাল একটা ফাইবার গিগ তৈরি করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ফাইবারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর  প্রথমে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। ফাইবার লগইন করার পর উপরের মেনুবারে "Selling" অপশনে চাপ দিন। এরপর "Gigs" অপশনটিকে নির্বাচন করুন। তারপর Create a New Gig অপশনটিতে চাপ দিন, এখন আপনাকে নতুন গিগ তৈরির পৃষ্ঠায় নিয়ে যাওয়া হবে।

নতুন-ফাইবার-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম

এরপর আপনাকে গিগ এর ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। আপনি যে ধরনের সেবা দিতে চান সেই ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, কনটেন্ট রাইটিং, SEO ইত্যাদি। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ের ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন। এরপর আপনাকে গিগের টাইটেল সিলেক্ট করতে হবে বা লিখতে হবে। গিগের টাইটেল বা শিরোনাম স্পষ্ট এবং আকর্ষণীয় হতে হবে। এটি আপনার কাস্টমারদের মনোযোগ আকর্ষণ সাহায্য করবে। 


আপনার গিগের টাইটেলে আপনার  মূল সেবা উল্লেখ করুন এবং কিভাবে সেবা দিবেন তা নিচে জানিয়ে দিন এবং আপনার সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিন। কিভাবে আপনি সেবা প্রদান করবেন, কি ফলাফল আশা করা যেতে পারে এবং ক্লায়েন্টদেরকে কেন আপনার সেবা নিতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে হবে। আপনার সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিন যেন আপনার ক্লায়েন্টদের বুঝতে সুবিধা হয়। 

আপনার গিগের বর্ণনায় প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন যাতে আপনার গিগটি সার্চ ইঞ্জিনে ভালোভাবে র‍্যাংক করে। গিগের বর্ণনায় আপনার সার্ভিসের সাথে সম্পর্কিত জনপ্রিয় কিওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করুন। যেমন: "Logo design", "content writing", " SEO optimization" ইত্যাদি।

 ফাইবার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম 

ফাইবার হচ্ছে একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সেবা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিক্রি করতে পারে যেমন: গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, SEO এবং আরো অনেক কিছু। ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার ফাইবার অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ভেরিফাই করতে হবে। ফাইবার অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ভেরিফাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

আপনার ফাইবার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার মাধ্যমে আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারবেন এবং প্লাটফর্মের  নিরাপত্তা বাড়াতে পারবেন। ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা আপনার সেলিং এবং ক্রয় অভিজ্ঞতা উভয়ের জন্য উপকারী। ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় ফাইবার নিশ্চিত হয় যে আপনি একজন বাস্তব ব্যক্তি যা আপনার কাজের নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়। 

ফাইবার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য আপনারা কিছু প্রাথমিক শর্ত মেনে কাজ করতে হবে। ফাইবার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে আপনাকে কয়েকটি মৌলিক শর্ত পূরণ করতে হবে যেমন:
    • আপনার ফাইবার অ্যাকাউন্টে সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্য থাকতে হবে
    • আপনার ইমেইল এড্রেসটি যাচাই করা ভেরিফাই করা থাকতে হবে
    • আপনি যদি পেমেন্ট গ্রহণ করতে চান তবে আপনাকে পেমেন্ট মেথড সেটআপ করতে হবে। 
প্রথমত ফাইবারে রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার ইমেইল এড্রেস উল্লেখ করতে হয়। সাইন আপ করার পর ফাইবার একটি কনফার্মেশন ইমেইল পাঠাবে। আপনি সেই ইমেইলে থাকা লিংকে ক্লিক করে আপনার ইমেইল এড্রেস টি যাচাই করতে পারবেন। 

ফাইবার আপনাকে আপনার ফোন নম্বর টি যাচাই করতে বলবে। ফোন নম্বর ভেরিফিকেশন একটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা স্তর যোগ করে যা ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্ট উভয়ের জন্য উপকারী। ফোন নম্বর ভেরিফাই  করতে:
    • আপনার প্রফাইলে যান
    • "Account Setting" এ ক্লিক করুন
    • "Mobile Number" অপশনে যান এবং আপনার ফোন নম্বর দিন
    • ফাইবার আপনার মোবাইল একটি কোড পাঠাবে 
    • কোডটি প্রবেশ করান এবং আপনার ফোন নম্বর যাচাই করুন 

লেখালেখির সেবা বিক্রির জন্য ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলুন

আপনি যদি আপনার ফাইবার অ্যাকাউন্টে লেখালেখি সেবা বিক্রি করতে চান তবে আপনাকে একটি প্রফেশনাল ভাবে ফাইবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। ফাইবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনার প্রোফাইল আরো পূর্ণাঙ্গ ও আকর্ষণীয় করার জন্য লেখালেখির দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং আপনার বিশেষত্ব সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করতে হবে। 

নতুন-ফাইবার-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম

আপনি যদি লেখালেখিতে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন তাহলে সেই দক্ষতার উল্লেখ করতে হবে। এর মাধ্যমে আপনার প্রোফাইল আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। লেখালেখি সেবা প্রদানকারী হিসেবে একটি প্রফেশনাল ছবি ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রোফাইলে প্রফেশনাল ছবির পাশাপাশি একটি ভালো কভার ফটো বা ইমেজ ব্যবহার করতে হবে যা আপনার লেখালেখির কাজের ধরনকে ফুটিয়ে তুলবে। 

লেখালেখির সেবা বিক্রির জন্য উপযুক্ত ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন। ক্যাটাগরির অধীনে আপনি আপনার সেবা সম্পর্কে লিখতে পারবেন:
    • Article and Blog Posts
    • SEO Writing 
    • Copywriting
    • Creative Writing 

    ফাইবারে তিনটি প্যাকেজ দেওয়া হয় যেমন: Basic, Standard এবং Premiu এই প্যাকেজগুলো তৈরি করতে পারবেন। দেখা যায় আপনি সেবা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রাইজ এবং অফার দিবেন। উদাহরণস্বরুপ:
      • Basic: ৫০০ শব্দের একটি ব্লক পোস্ট 
      • Standard: ১০০০ শব্দের একটি ব্লগ পোস্ট এবং SEO অপটিমাইজেশন 
      • premium: ২০০০ শব্দের একটি ব্লক পোস্ট, SEO এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোশন 

    আপনার ভাইবার অ্যাকাউন্ট আপনি গিগের অতিরিক্ত সেবা প্রদান করতে পারবেন বা যোগ করতে পারবেন, যেমন:
      • দ্রুত ডেলিভারি (Fast delivery)
      • অতিরিক্ত রিভিশন (Additional revisions)
      • এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট 

    ফাইবার অ্যাকাউন্টে কোন কাজের চাহিদা বেশি

    বর্তমান সময়ে ফাইবার অ্যাকাউন্টে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এ দুটি কাজের চাহিদা অনেক। তবে এছাড়া অন্যান্য কাদের চাহিদা রয়েছে। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয় করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, কোডিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি। তবে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং মার্কেটপ্লেস এর বাইরে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন। 
     
    ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা ফাইবারে অত্যন্ত চাইলে সম্পন্ন। আজকাল ব্যবসা গুলি তাদের পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্ম গুলির উপর নির্ভরশীল। এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত কিছু কাজ হলো:
      • এসইও (SEO): ওয়েবসাইটের
      • পেপার ক্লিক (PPC) গুগল এডওয়ার্ডস, ফেসবুক এবং অন্যান্য পিপিসি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনা 
      • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন তৈরী এবং ব্যবস্থাপনা 
      • কনটেন্ট মার্কেটিং: ব্লক পোস্ট, নিউজলেটার এবং কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে ব্যবসার প্রচার 

    গ্রাফিক্স ডিজাইন ফাইবার অ্যাকাউন্টের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পূর্ণ কাজ গুলোর মধ্যে একটি। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসার প্রোডাক্ট বা পণ্যের জন্য আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করতে আসে। ফাইবারে গ্রাফিক ডিজাইন সেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর মধ্যে রয়েছে:
      • লোগো ডিজাইন 
      • সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স 
      • ব্রোশিওর, ফ্লায়ার ও পামফলেট ডিজাইন 
      • ইনফ্লোগ্রাফিক্স 

    ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি লাগে

    ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই একটি স্থির ও দ্রত ইন্টারনেট সংযোগ দরকার হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফাইবারের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং এরপর আপনি আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন। ফাইবারে অ্যাকাউন্ট করতে একটি ইমেইল লাগবে। আপনার ইমেইলটি অবশ্যই বৈধ ইমেইল এড্রেস হতে হবে। আপনি যে ইমেইল এড্রেসটি ফাইবার অ্যাকাউন্টে যুক্ত করতে চান সে ইমেইলটি অবশ্যই আপনার যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা এ বের হতে হবে।

    ফাইবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার একটি ফোন নম্বর প্রয়োজন হবে। ফোন নম্বরটি অবশ্যই আপনার পার্সোনাল ফোন নম্বর হতে হবে। এটি আপনার নিরাপত্তা এবং প্রোফাইল ভেরিফিকেশন এর জন্য ব্যবহৃত হবে। এই ফোন নম্বরটি দ্বারা আপনি আপনার ফাইবার অ্যাকাউন্টের সকল ইনফরমেশন পাবেন। 

    ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন তবে পরিশোধ গ্রহণ করার জন্য একটি পেমেন্ট মেথর যোগ করতে হবে। ফাইবারে বিভিন্ন প্রেমের মেথড পদ্ধতি রয়েছে যেমন:
      • Paypal: আন্তর্জাতিক পেমেন্টের জন্য খুবই জনপ্রিয় পদ্ধতি 
      • ফাইবার গিগ অ্যাকাউন্ট (Fiver revenue Card) এই কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি নিতে পারবেন
      • ব্যাংক ট্রান্সফার: এটি একটি সাধারণ পেমেন্ট পদ্ধতি 
      • Payoneer এটি একটি গ্লোবাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম যা অনেক ফ্রিল্যান্সার ব্যবহার করে

    মোবাইল দিয়ে কি ফাইবারে কাজ করা যায়

    আপনার যদি একটি ভালো স্কিল থাকে আপনি যদি ফাইবারে কাজ করতে চান কিন্তু আপনার কাছে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নেই তাহলে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়েই ফাইবারে কাজ করতে পারবে। ফাইবার একটি অফিসিয়াল মোবাইল অ্যাপ সরবরাহ করে যা আপনি গুগল প্লে স্টোরে বা অ্যাপ স্টোরে পেয়ে যাবেন। এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করতে পারবেন। 

    তবে ফাইবারের পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট ও মোবাইল ব্রাউজার থেকে এক্সেস করা যায়। আপনি মোবাইল থেকেই আপনার ফাইবার অ্যাকাউন্টের গিগ, কভার ইমেজ, প্রোফাইল ইমেজ ইত্যাদি তৈরি করতে পারবেন। তবে মোবাইল দিয়ে আপনি সব কাজ করতে পারবেন না। 

    মোবাইল দিয়ে আপনি কিছু কিছু কাজ করতে পারবেন যেমন: 
      • কনটেন্ট রাইটিং।
      • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা কনটেন্ট শেয়ার করা মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।
      • ভিডিও এডিটিং: কিছু মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস  (যেমন: Inshort, Kingmaster, ইত্যাদি) ব্যবহার করে এডিট করতে পারবেন।

    লেখকের কথা 

    লেখকের মতে, নতুন ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। অবশ্যই আপনার পার্সোনাল ইমেইল এড্রেস এবং ফোন নম্বর দিয়ে আপনার ফাইবার অ্যাকাউন্টটি ভেরিফাই করবেন। আপনি চাইলে এই কাজগুলো স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দিয়ে করতে পারবেন। আপনার ফাইবার অ্যাকাউন্টে অবশ্যই একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। 

    আমাদের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আরো নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। কোন বিষয়ে জানতে সমস্যা হলে আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে সার্চ করুন। আমাদের পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে একটি সুন্দর কমেন্ট করে যান। আপনার সুস্থ্য কামনায় আজকে এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।      

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    আওয়ার ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url