বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অর্থ উপার্জন করার গুরুত্বপূর্ন কৌশল

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অর্থ উপার্জন করার গুরুত্বপূর্ন কৌশল সম্পর্কে, আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। বর্তমান সময়ে অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট ছোট কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়। 

বাংলাদেশে-শিক্ষার্থীদের-অর্থ-উপার্জন-করার-গুরুত্বপূর্ন-কৌশল

এছাড়াও বাংলাদেশের একজন ছাত্র হিসেবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন টিউটরিং, ইউটিউব চ্যানেল তৈরি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ব্লগিং, স্টক ফটোগ্রাফি, ডগশিপিং ইত্যাদি থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।  

পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অর্থ উপার্জন করার গুরুত্বপূর্ন কৌশল

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অর্থ উপার্জন করার গুরুত্বপূর্ন কৌশল

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অর্থ উপার্জন করার গুরুত্বপূর্ন কৌশল এবং লাভজনক উপার্জনের মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। আপনি যদি লেখালেখি করা, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ হোন তাহলে আপনিও বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং হলো এক ধরনের মুক্ত পেশা যা ফলে আপনি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ-তরণী পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যেকোনো একটি স্কিকিলের প্রতি দক্ষতা থাকতে হবে। 

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনার যদি কোন দক্ষতা বা স্কিল থাকে তবে আপনিও করে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ের চাকরির বাজার খুবই খারাপ। এজন্য অসংখ্য মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ে সময় দিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি এবং বিভিন্ন চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে। 

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে মাইনিং করে বিকাশে পেমেন্ট নিন 

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায় যেগুলো আপনি অবসর সময়ে পার্ট টাইম জব বা ফুল টাইম জব হিসেবে করতে পারবেন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এ দক্ষ হোন তবে বাংলাদেশের কিংবা বাংলাদেশের বাইরের যে কোন দেশের ক্লায়েন্টের কাজ করতে পারবেন। তবে একটা মজার বিষয় হলো ফ্রিল্যান্সিং করতে তেমন হাই লেভেলের ইংরেজি শেখার প্রয়োজন হয় না। 

তবে আপনি যদি ইংরেজি বিষয়ে দক্ষ হোন তবে বাহিরের দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলে অসংখ্য কাজ নিতে পারবেন। আপনি যদি লেখালেখির করতে পছন্দ করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল লেখার প্রতি দক্ষ হোন তবে আপনি আর্টিকেল রাইটিং কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নতুন নতুন অজানা তথ্য সম্পর্কে আর্টিকেল পাবলিশ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

আপনি যদি ডিজাইনের এক্সপার্ট হোন তবে বিভিন্ন কোম্পানির লোগো এবং ব্যানার ডিজাইন করে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন। আমাদের দেশের যুবকরা পড়াশোনার পাশাপাশি এগুলো সেক্টরে কাজ করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে থাকে। 

বাংলাদেশি ছাত্রদের জন্য সেরা অনলাইন চাকরির প্ল্যাটফর্ম 

বাংলাদেশের ছাত্রদের জন্য সেরা অনলাইন চাকরির প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে তাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করে, যেখানে তারা পার্ট-টাইম এবং ফুল-টাইম জব খুঁজে পেতে পারে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে চাকরি না পাওয়ার জন্য অনেক তরুণ ও ছাত্রদের মধ্যে অনলাইন কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনলাইন চাকরির সুবিধা হলো এটি আপনার বাড়ি বা যেকোন স্থান থেকে কাজ করার সুবিধা প্রদান করে।

বাংলাদেশি-ছাত্রদের-জন্য-সেরা-অনলাইন-চাকরির-প্ল্যাটফর্ম

বাংলাদেশের ছাত্ররা বেশিরভাগ সময় তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করার পর, চাকরি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করে। কিন্তু বেশিরভাগ ছাত্ররা তাদের মেধা থাকা সত্ত্বেও ভালো চাকরি পায়না। এজন্য আজকের আর্টিকেলে আমরা অনলাইনে কিছু চাকরির প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলোচনা করব। 

Upwork: এটি আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, এখানে বাংলাদেশের অসংখ্য ছাত্ররা তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায় যেমন প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে এর মাধ্যমে দক্ষ ছাত্ররা বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে পারে। 

Fiverr: Fiver একটি বিশ্ব বিখ্যাত ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম এখানে ছাত্ররা ছোট এবং মাঝারি আকারের কাজ পেয়ে থাকে। Fiverr এ সর্বপ্রথম কাজের মূল্য ৫ ডলার থেকে শুরু করে তাদের মেধা এবং দক্ষতা অনুযায়ী ইনকাম করতে পারে। গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, SEO ইত্যাদি কাজের জন্য Fiverr একটি জনপ্রিয় এবং আদর্শ প্ল্যাটফর্ম। Fiverr বিভিন্ন কাজের ক্যাটাগরি প্রদান করে, যেখানে ছাত্ররা সহজে তাদের আগ্রহ এবং দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে। 

Toptal: Toptal একটি অত্যন্ত মানসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। এই মার্কেটপ্লেসে শুধু দক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা কাজ পেয়ে থাকে। এটি একটি কঠিন প্লাটফর্ম। কারণ এখানে তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া কেবল অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের গ্রহণ করে। বাংলাদেশের ছাত্রদের জন্য চ্যালেঞ্জিং তবে সম্ভাবনাময় প্ল্যাটফর্ম হতে পারে এটি। বিশেষ করে তারা যদি কোন প্রযুক্তি বা দক্ষতায় পারদর্শী হয়। 

Linkedin: এটি সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট হলেও এটিকে চাকরি খোঁজার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখানে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রফেশনার প্রোফাইল তৈরি করে বিভিন্ন চাকরির জন্য আবেদন করতে পারে। এ সাইটটিতে অনেক দেশি বিদেশি কোম্পানি চাকরির অফার দেয় এবং এটি নেটওয়ার্কিং এর জন্যও ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম।

ছাত্র অবস্থায় ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিংয়ের মাধ্যমে উপার্জন 

ছাত্র অবস্থায় ব্লগিং এবং কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে উপার্জন হতে পারে আপনার জন্য একটি সহজ এবং লাভজনক পদ্ধতি। ব্লগিং ব্লগিং হলো একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগে, নিয়মিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে কনটেন্ট আপলোড ভাব প্রকাশ করার প্রকিয়া। এখানে অসংখ্য স্টুডেন্ট এবং চাকরিজীবী সহ নানা পেশাদার মানুষ কাজ করে থাকে। 

কনটেন্ট রাইটিং হলো ব্লগিংয়ের একটি অংশ। এটি বেশিরভাগই কোন নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্ট যেমন তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও সেবা, চিকিৎসা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে লেখালেখি করা হয়। আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং ওয়েবসাইট গুলোতে লেখক তার সাধারণ জ্ঞান থেকে মানুষের যেকোনো সমস্যা নিয়ে তা সমাধান করার উপায় সম্পর্কে মতামত যা নিয়ে থাকে। 

গুগল অ্যাডসেন্স: আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করার পর, যখন তা আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, আপনার সেই আর্টিকেলে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করার পদ্ধতি হলো গুগল এডসেন্স। আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স প্রোগ্রাম যোগ করার মাধ্যমে আপনি পাঠকদের সামনে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ বিকাশ পেমেন্টে অনলাইন ইনকাম করার বৈধ উপায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পণ্য বা সেবা প্রচার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি অন্য কারো পন্য বা সেবা প্রচারের মাধ্যমে সেখান থেকে যদি পন্য বিক্রি হয়, তবে সেখান থেকে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন। আপনি যদি কোন প্রোডাক্ট এর রিভিউ লেখেন, তবে আপনার ব্লগে অ্যাফিলিয়েট লিংক প্রদান করতে পারবেন। পাঠকরা যখন সেই লিংকের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করবে, তখন সেখান থেকে কমিশন পাবেন। 

স্পন্সরশিপ এবং ব্র্যান্ড ডিল: আপনার ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড দেওয়ার পর যখন আপনার ব্লগের কনটেন্টের ভিজিটর বাড়বে, তখন বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনার ব্লগে তাদের পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য, আপনাকে স্পন্সরশিপ অফার করতে পারে। এ ধরনের স্পন্সরশিপ সাধারণত চুক্তি করে ব্লগ পোস্ট রিভিউ বা গেস্ট পোস্ট আকারে করতে হয়। 

বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য ইন্টার্নশিপ এবং চাকরির প্ল্যাটফর্ম 

বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য ইন্টার্নশিপ এবং চাকরির প্ল্যাটফর্ম এর সুযোগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির যোগে বাংলাদেশী ছাত্রদের ক্যারিয়ার গঠনে সাহায্য করে, এরকম অসংখ্য অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে। এ সকল প্ল্যাটফর্ম গুলিতে ছাত্ররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী ইন্টার্নশিপ এবং চাকরির সুযোগ খুঁজে পেতে পারে। এসব পোর্টাল ব্যবহার করে ছাত্ররা শুধু ইনকামই নয় বরং তাদের নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারবে। 

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অর্থ উপার্জন করার গুরুত্বপূর্ন কৌশল সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু সেরা ইন্টার্নশিপ এবং চাকরি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। বাংলাদেশে কিন্তু সেরা এবং বিশ্বস্ত চাকরি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেখানে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মেধাকে প্রতিফলিত করে অর্থ উপার্জন করতে। 

Bdjobs.com:  Bdjobs.com বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চাকরি এবং ক্যারিয়ার পোর্টাল। এখানে দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার চাকরির বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। এখানে আমাদের দেশে ছাত্ররা বিভিন্ন ধরনের ইন্টার্নশিপ এবং ফুলটাইম জবের শুধু পেতে পারে। Bdjobs  এ আবেদন করার জন্য বিশেষ কোনো শর্ত প্রয়োজন হয় না, তবে এখানে চাকরি পাওয়া ইন্টার্নশিপের জন্য আপনার ছবি এবং কাভার লেটার প্রয়োজন হবে। 

Unilever Talent Network: এটি একটি বিশ্বমানের চাকরি প্রতিষ্ঠান। এখানে ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন ইন্টার্নশিপ এবং চাকরি সুযোগ প্রদান করা হয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে সহজ সুবিধা হচ্ছে এখানে ছাত্ররা ইন্টারশীপ এবং চাকরির জন্য সরাসরি আবেদন করতে পারবে। এ প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রফেশনাল এবং উন্নত কর্মস্থল হিসেবে পরিচিত। 

Kormo jobs: বাংলাদেশের ছাত্রদের জন্য একটি নতুন এবং উদ্ভাবনী চাকরি এবং ইন্টার্নশিপ প্ল্যাটফর্ম হলো Kormo jobs  প্ল্যাটফর্ম। এ প্লাটফর্মটি খুবই সুবিধাজন কারণ এখানে ছাত্রদের চাকরি খোঁজার প্রক্রিয়াকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলা হয়েছে। Kormo jobs  এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ছাত্ররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরি এবং ইন্টার্নশিপ অফার দেখতে পারে এবং সরাসরি আবেদন করার সুযোগ পেয়ে থাকে। 

ছাত্রদের জন্য গেমিং করে টাকা আয় করা সুযোগ 

ছাত্রদের জন্য গেমিং করে টাকা আয় করা সুযোগ রয়েছে তবে এর জন্য বিশেষ কৌশল এবং পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়। বিভিন্ন গেমিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে এগুলো থেকে টাকা আয় করা সম্ভব। তবে কিছু কিছু গেমিং স্ক্যাম্প প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে প্রতারণা সৃষ্টি করে। আজকে এমন কিছু প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব থেকে গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়। 

ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট: ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে আমাদের দেশে অনেক ছাত্ররা টাকা আয় করছে। বাংলাদেশে ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট খুবই জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের গেম যেমন PUBG Mobile, Free Fire, Dota 2, Valorant, FiFa এবং এরকম বিভিন্ন গেম রয়েছে, যেগুলোর টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করলে পুরস্কার জেতার সুযোগ থাকে। 

গেম স্টিমিং: গেম খেলার সময় ভিডিও স্টিমিং করে টাকা আয় করা যায়। গেমিং ভিডিও এবং অন্যান্য ভিডিও স্টিমিং করার জন্য কিছু জনপ্রিয় পারফরম রয়েছে যেমন Twitch, Youtub, Facebook ইত্যাদি। আপনি যদি একজন ভালো গেমার হোন এবং আপনার দর্শকদেরকে আকর্ষণীয় গেমিং ভিডিও প্রদান করতে পারেন, তাহলে এ প্লাটফর্মগুলোতে কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ আপনার অনলাইন ইনকাম কিভাবে বিকাশে নিবেন

গেমিং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: বাংলাদেশের এবং বাহিরের দেশের বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে যারা বিভিন্ন গেমিং প্রোডাক্ট বিক্রি করে। তাদের বিক্রির হাড় বৃদ্ধি করতে আপনি আপনার ব্লগে তাদের পণ্য বিক্রির জন্য যদি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালান, এবং তাদের বিক্রির হার বৃদ্ধি পায়, তবে সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাবেন। 

ইন-গেম আইটেম বিক্রি: বিভিন্ন গেমের কিছু আইটেম যেমন স্কিন, ক্যারেক্টার এবং অন্যান্য উপকরণ বিক্রি করতে পারেন। কিছু কিছু গেমের ক্ষেত্রে যদি আপনি খুব ভালো খেলোয়ার হোন এবং বিরল আইটেম অর্জন করতে সক্ষম তবে সে আইটেমগুলো বিক্রি করে আপনি অর্থ আয় করতে পারবেন। 

ফ্রি-লান্স গেমিং কাজ: আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভলপার হোন তবে বিভিন্ন গেমের ডিজাইনা, 3D মডেলার, প্রোগ্রামার এবং সাউন্ড ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি গেম ডেভেলপমেন্টে দক্ষ হোন তবে এ ধরনের কাজ করে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

ছাত্রদের জন্য মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আয় 

ছাত্রদের জন্য মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আয় করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করে কাজ করলে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট একটি দক্ষতা-ভিত্তিক পেশা এবং বর্তমানে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের চাহিদা কবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আপনি যদি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখে থাকেন তবে আপনি বিভিন্ন ইনকাম করতে পারবেন। 

বেশি-বিদেশী বিভিন্ন ক্লায়েন্টরা তাদের কোম্পানির অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের জন্য বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে অ্যাপ ডেভেলপার কোথায় থাকে। আপনি যদি একজন সফল অ্যাপ ডেভলপার হয়ে থাকেন তবে আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারবেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে সেরা ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং বড় বড় তাদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ ও রয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ বিকাশ পেমেন্ট সিস্টেমে রিয়েল আয়ের ১০টি উপায়

আপনি যদি একজন অ্যাপ ডেভলপার হয়ে থাকেন এবং আপনার ধারণাকে কাজে লাগিয়ে যদি আপনি একটি অ্যাপ তৈরি করতে পারেন, এবং সেটিকে Google Play Store এ প্রকাশ করেন, তাহলে অ্যাপ থেকে আয় করতে পারবেন। আপনার অ্যাপে বিজ্ঞাপন বসিয়ে প্রতি ক্লিকের জন্য আয় করতে পারবেন। 

আপনি যদি ভালো কোডিং এ দক্ষ হোন তবে বিভিন্ন ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানের কাস্টম মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপ করে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের, বিভিন্ন কোর্স এবং অন্যান্য বিষয়ে অ্যাপ তৈরি করে ইনকাম করা যায়। এছাড়াও কাস্টম অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে পেশাদারী ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। 

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শুধু কোডিং নয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডিজাইনও তৈরিতে কাজে লাগে। আপনি যদি কোন অ্যাপস তৈরি করেন তবে ইউজারদের আকর্ষণের জন্য আপনাকে অ্যাপসের ডিজাইন কোয়ালিটি আকর্ষণীয় সুন্দর করতে হবে। বিভিন্ন কোম্পানিতেদের অ্যাপস এর ডিজাইন উন্নত করতে ফ্রিল্যান্সিং ডিজাইনারদের হায়ার করে, আপনি চাইলে তাদের কাজ করে দিয়েও ইনকাম করতে পারবেন। 

অনলাইনে এসইও সার্ভিস প্রদান করে আয় করার উপায়

অনলাইনে এসইও সার্ভিস প্রদান করে আয় করার উপায় রয়েছে, যার দ্বারা আয় করা লাভজনক এবং চাহিদাপূর্ণ পেশা হতে পারে। বর্তমানে প্রতিটি ব্যবসা বা ওয়েবসাইটের জন্য গুগলে ভালো রেঙ্ক পাওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। আপনি যদি খুব ভালো এসইও এক্সপার্ট হোন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট বা আপনার ক্লায়েন্টদের ওয়েবসাইট গুগলের রেঙ্ক করিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অর্থ উপার্জন করার গুরুত্বপূর্ন কৌশল হিসেবে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এসইও এর কাজ করে আয় করতে পারবেন। এসব মার্কেটপ্লেসে অনেক ব্যবসা ও ওয়েবসাইটে মালিক এসইও কাদের জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজেন। আপনি যদি এসইও দক্ষতা অর্জন করে থাকেন, তবে আপনিও এখানে কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন। 

আপনি চাইলে প্রথম অবস্থায় এসইও কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। এসইও কনসালটেন্ট সেবা প্রদান করে আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের এসইও সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদান করতে পারেন। আপনি ওয়েবসাইটের মালিকদের জন্য এসইও এডিট করে এডিট করে স্ট্যাটিজি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারবেন। এর ফলে আপনার ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ ব্লগিং করে আয় করুন এবং বিকাশে পেমেন্ট নিন

এছাড়াও আপনি যদি এসইও এজেন্সিতে কাজ করতে চান তবে আপনি একটি ওয়েবসাইটের সার্বিক এসইও পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন। এর ফলে ওয়েবসাইটের অন-পেজ এবং অফ-পেজ এসইও এর কাজ কিওয়ার্ড রিচার্জ, লিংক বিল্ডিং, কনটেন্ট অপটিমাইজেশন ইত্যাদি কাজ করার সুযোগ পাবেন। এ কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি ক্লায়েন্টদের ওয়েবসাইট গুগলে ভালো রেঙ্ক করাতে পারবেন। 

এসইও সমন্ধে আপনার দক্ষতা থেকে অন্যদেরকে এসইও কোর্স তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। এটি হতে পারে ভিডিও টিউটোরিয়াল, লেখালেখি কিংবা ওয়েবিনার আকারে। আপনি বিভিন্ন প্লাটফর্মগুলোতে এসইও এর কোর্ট তৈরি করে বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। অনেকে আছে এসইও শেখার জন্য আগ্রহী তাদের কাছে আপনার কোর্সটি বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। 

ছাত্রদের জন্য পিডিএফ ফাইল তৈরি করে অর্থ উপার্জন 

ছাত্রদের জন্য পিডিএফ ফাইল তৈরি করে অর্থ উপার্জন খুবই সহজ এবং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। ই-বুক এর লেখার পিডিএফ ফাইল তৈরি করে এটি অনলাইনে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ছাত্রদের জন্য পড়াশোনা টিপস, টাইম ম্যানেজমেন্ট বা পরীক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ক তথ্য নিয়ে পিডিএফ ফাইল তৈরি করেন, তাহলে আপনি এই বইটি অনলাইন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারবেন। 

এছাড়া আপনার যদি নিজস্ব একটু ওয়েবসাইট থাকে সেই ওয়েবসাইটে পিডিএফ ফাইল তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের বই, গাইড ইত্যাদি নিয়ে স্টাডি গাইড তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এসব কাইডে টপিক বেসড প্রিপারেশন এবং বিভিন্ন টিপস যা সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারেন। 

আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ডকুমেন্ট ডিজাইনে দক্ষ হোন, তবে আপনি সেই বিষয়ে কোড ওয়ার্ক, প্রজেক্ট রিপোর্ট বা রিচার্জ পেপার পিডিএফ আকারে বিক্রি করতে পারেন। অনেক ছাত্র আছে যারা পড়াশোনার বিষয়ে অনেক কাঁচা, তাদের কাজ তো ঠিকমতো করতে পারেনা, তারা এমন পিডিএফ ফাইল কিনতে আগ্রহী যেখানে সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া আছে, এবং সেটি পড়ে যেন সে বুঝতে পারে। 

অনেক ছাত্রদের বিভিন্ন স্টাডি ম্যাটেরিয়াল নোট প্রয়োজন হয়, আপনি যদি সেই নোটগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে একটি পিডিএফ ফাইল তৈরি করতে পারেন, তবে সেই নোটগুলো অনলাইনে বিক্রি করে উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন ক্যালেন্ডার ভাই স্টাডি প্ল্যানার ইত্যাদির চাহিদা অনেক।

ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন তৈরি করে উপার্জন 

ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন তৈরি করে উপার্জন বংলাদেশী ছাত্রদের জন্য একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে। অনলাইনে আয় বা তাদের ব্যবসা, পণ্য বা সেবা প্রচারের মাধ্যমে। ফেসবুকের অ্যাড প্ল্যাটফর্ম এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে সঠিক অডিয়েন্স টার্গেট পৌঁছাতে সক্ষম হয়।

ফেসবুক-অ্যাড-ক্যাম্পেইন-তৈরি-করে-উপার্জন

ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে এই ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:

  • কোর্স বা টিউশন ক্লাসের প্রচার 
  • স্টাডি ম্যাটেরিয়াল বিক্রি 
  • পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন 
  • অনলাইন বা অফলাইন ইভেন্টের প্রচার 

ফেসবুক অ্যাডের মূল শক্তি হলো সঠিকভাবে অডিয়েন্স টার্গেট করা। আপনি ছাত্রদের জন্য নির্দিষ্ট শ্রেণী বা বিষয় ভিত্তিক অ্যাড ক্যাম্পেইন করতে পারবেন। যেমন:

  • ১৬-২৪ বছর বয়সী ছাত্রদের টার্গেট করুন 
  • স্টাডি টিপস, এডুকেশনাল কোর্স ইত্যাদি ইন্টারেস্ট টার্গেট করতে পারবেন 
  • আপনি যে দেশে বাজে অঞ্চলে কাজ করবেন, সেই অঞ্চলের ছাত্রদের জন্য বিজ্ঞাপন চালাতে হবে

আরো পড়ুনঃ সঠিক নিয়ম মেনে বিকাশ ব্যবহার করুন

ফেসবুকে অ্যাড ক্যাম্পেইন টাইপ নির্বাচন করার পদ্ধতি:

  • Traffic Campaign
  • Engagement Campaign  
  • Lead Generation Campaign 
  • conversion Campaign   

আপনি যে বিষয়ে অ্যাড ক্যাম্পেইন চালু করবেন সে বিষয়ে অবশ্যই আকর্ষণীয় এবং পরিষ্কার কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এর ফলে আপনার কনটেন্ট কি বিক্রির হার বৃদ্ধি পাবে। আপনার কনটেন্টটি সহজ এবং সরল ভাষায় লেখার চেষ্টা করুন। আপনার অ্যাডে অবশ্য আকর্ষণীয় কনটেন্ট ব্যবহার করতে হবে, যা ছাত্রদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। আপনার কনটেন্টের মধ্যে এ বিষয়গুলো থাকা অত্যন্ত জরুরী:

  • শিক্ষাগত উপকারিতা 
  • আকর্ষণীয় অফার 
  • ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট 
  • কল টু অ্যাকশন 

লেখকের কথাঃবাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অর্থ উপার্জন করার গুরুত্বপূর্ন কৌশল

লেখকের মতে, বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অর্থ উপার্জন করার গুরুত্বপূর্ন কৌশল সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।বাংলাদেশে ছাত্র হিসাবে অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেখানে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ পাবেন। এছাড়া বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে আলোচনা করেছি যেখানে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

আমাদের পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হোন তাহলে আরো নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আপনার যেকোনো অজানা বিষয়ে জানতে এখনই আমাদের ওয়েবসাইটে সার্চ করুন। আমাদের পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে সুন্দর একটি কমেন্ট করে যাবেন। আজকে এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আওয়ার ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url